
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের হরিশপুর গ্রামে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গত ১৫ জুলাই দুপুরে এই গ্রামে হঠাৎ ভয়াবহ ধস নামে। সেই ধসের জন্য একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরতে শুরু করে। এছাড়া পিচের রাস্তাতেও ফাটল ধরে। তারপর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন গ্রামবাসীরা। যেসব বাড়িতে ফাটল ধরেছিল সেইসব বাড়ির বাসিন্দারা অন্য জায়গায় থাকছিলেন।
বুধবার ভোরে ফের ধস শুরু হয় হরিশপুরে। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ওই দোতলা বাড়িটি। এছাড়া কিছু কাঁচা মাটির বাড়িও ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন অনেক মানুষ। যাঁদের কোথাও যাওয়ার উপায় নেই, তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই ধসের প্রধান কারণ হল কয়লাখনি। কয়েক দিন আগেই অন্ডাল থানার জামবাদ খোলামুখ খনির সম্প্রসারণের কারণে ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড বা ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসন মাটির তলায় তলিয়ে যায়। এই ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। ১০ দিন পরে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলার দেহ।
গত বুধবার অন্ডালের হরিশপুর গ্রামে ধস নামে। তারপর থেকেই প্রাণ হাতে নিয়ে বাস করছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, খনি অঞ্চল হওয়ায় এখানে এমনিই মাঝেমাঝে ধস হয়। কিন্তু বেআইনি কয়লাখনি খনন, গর্ত ভরাট না করার ফলে এই বড় ধস নামছে। তার ফলে একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরছে। পিচের রাস্তায় ফাটল ধরছে। কখনও আবার বাড়ি ভেঙে পড়ছে। কোনওদিন হয়তো গোটা গ্রামই মাটির তলায় তলিয়ে যাবে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ইসিএল জানিয়েছে, পুনর্বাসনের প্যাকেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাকাও বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হওয়ায় পুনর্বাসন দিতে দেরি হচ্ছে। তবে শিগগির পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।