
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাদার-যুবর কোন্দলে রবিবার সকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর চড়াবিদ্যা মিশন বাজার এলাকা। দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোলে চলল গুলি। দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম অবস্থায় ফারুক শেখ ও মোহত শেখকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, “চড়াবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত আমরা মাদারর সংগঠনের লোকজনরা চালাই। এলাকা দখলের জন্য সওকত মোল্লা বাহিনী পাঠিয়েছিল। তারাই গুলি চালিয়েছে।” সওকত মোল্লা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে অনেকের দাবি। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের কোনও যোগ নেই। তিনি কাউকে এলাকা দখল করতে পাঠাননি বলেও দাবি করেছেন।
এমনিতে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবার মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সমস্ত এলাকাগুলিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সবার জানা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু কোথায় কী!
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এদিন সকালে প্রকাশ্যে গোলাগুলি চলতে শুরু করে। স্থানীয় মানুষ হতচকিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। তার মধ্যেই গুলি লাগে দুই তৃণমূল কর্মীর। এক জনের মাথায় ও অন্য জনের পায়ে গুলি লেগেছে বলে খবর।
গোলাগুলি চলার পর এলাকায় যায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। চড়াবিদ্যা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
গত মাসেই ভাঙড় উত্তাল হয়েছিল তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে। উমফান বিধ্বস্তদের ত্রাণ দিয়ে ফেরার সময়ে এক দল তৃণমূলকর্মীর উপর হামলা চলায়া অন্য গোষ্ঠী। তখনও হামলার ঘটনা নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে। এবারও দোর্দণ্ডপ্রতাপ যুব নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের তির। এই ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীদের ধরার জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে।