
কিছুদিন আগে মেমারি থানার নলপুকুরের পরিবহণ ব্যবসায়ী লালন চৌধুরির সংস্থার মাধ্যমে ভিন রাজ্যে ২৩ টন আলু পাঠান কিরণ সাউ। আলুর দাম প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। মেমারি থেকে আলু বিহারের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু, দু’দিন পরও গন্তব্যে পৌঁছায়নি আলু। তা জানতে পেরে লালন চৌধুরী বিহারের পরিবহণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলু বোঝাই গাড়ির চালক ও খালাসির ঠিকানা পেয়ে সেখানে পৌঁছেও চালক ও খালাসির হদিশ পাননি লালন। বিহারের পরিবহণ ব্যবসায়ীকে আলুর বিষয়ে জানতে চাইলে সেখান থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। উল্টে তাঁকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
একইভাবে মেমারি থানার হাটপুকুরের পরিবহণ ব্যবসায়ী সঞ্জয় মণ্ডল বিহারে ৫৩২ বস্তা আলু পাঠান। হুগলির আরামবাগের একটি হিমঘর থেকে আলু লোড করে বিহারের দিকে রওনা হয় গাড়ি। তারপর আলু নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছয়নি। পরিবহণ ব্যবসায়ীদের আইনজীবী জয়দীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আলুর দাম এখন আকাশছোঁয়া। লাভের আশায় এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা ভিনরাজ্যে আলু পাঠাচ্ছেন। কিন্তু আলু গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে একটি চক্র জড়িত। বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়। পুলিস আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। সেইমতো মামলা করা হয়েছে।’’
মেমারি থানার এক অফিসার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে কেস রুজু হয়েছে। জড়িতদের ধরতে সব ধরণের চেষ্টা চলছে।’’