
বুদ্ধবাবুর ফুসফুসের সমস্যা বহুদিনের। সিওপিডি-র সমস্যার জন্য সেই ২০১০ সাল থেকে বিমানে উঠতে পারেন না। দলের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থাকার সময়ে এই কারণেই বাইরে রাজ্যে বৈঠকে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাঝে আবার জাঁকিয়ে বসেছিল চোখের সমস্যা।
গতবছর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে সেখানেও বেশি দিন থাকতে চাননি। খানিকটা জেদ করেই বাড়ি ফিরে যান। তবে তারপর থেকে প্রায় পাঁচজন চিকিৎসক পাম অ্যাভিনিউয়ের ছোট্ট ফ্ল্যাটে নিয়মিত দেখভাল করছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর যে ভালবাসার জায়গা পড়াশোনা, তা তিনি করতে পারছেন। দলের খবর, রাজ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির খবরও রাখছেন নিয়মিত। নতুন লেখক কারা কী লিখছেন সে ব্যাপারেও বুদ্ধবাবু কৌতূহলী বলে জানা গিয়েছে।
শেষবার বুদ্ধবাবুকে দলের কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল ২০১৯-এর ২ ফেব্রুয়ারি। বামেদের ডাকা ব্রিগেডে ১২ মিনিটের জন্য এসেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে গাড়িতেই বসে ছিলেন। ধুলোর জন্য নামতে পারেননি। তবে অনেকেই বলেন, ওই দিন বুদ্ধবাবু এসেছেন এই ঘোষণা শুনে বাম জনতা যে ভাবে উদ্বেল হয়েছিল তা থেকেই পরিষ্কার, সিপিএম তথা এ রাজ্যের বামেদের শেষ জনতা তিনিই।