Latest News

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে করোনায় আক্রান্ত আরও তিন, এই নিয়ে দু’দিনে সাত জন, জেলায় আক্রান্ত বেড়ে দশ

এই সাত জন আজমেঢ় শরিফ থেকে ফিরেছেন। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল দশ।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকে শনিবার আরও তিন জন বাসিন্দার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার এই ব্লকের চার জন বাসিন্দার করোনা ধরা পড়েছিল। অর্থাৎ দু’দিনে সাত জনের করোনা ধরা পড়ল। এঁরা প্রত্যেকেই আজমেঢ় শরিফ থেকে ফিরেছেন।

এই ব্লকের ২৪০ জন আজমেঢ় থেকে প্রথমে আসেন হুগলির ডানকুনিতে। সেখান থেকে সরকারি বাসে তাঁদের মালদহে আনা হয়। ২৪০ জনের মধ্যে শুক্রবার মোট ৯৩ জনের রিপোর্ট এসেছে। তাঁদের মধ্যে চার জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়। এদিন আরও তিন জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে। শনিবার মোট কত জনের রিপোর্ট এসেছে সে ব্যাপারে এখনও জানানো হয়নি। ব্লকের কোন গ্রামে তাঁদের বাড়ি সে কথাও এখনও জানানো হয়নি। তবে আক্রান্তরা মাহীন্দ্রপুর ও মানকিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে সূত্রের খবর।

জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট দশ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মানিকচকে যে পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তাঁর চিকিৎসা চলছে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে। শিলিগুড়ির হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রতুয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিও। পুরাতন মালদহের কোভিড হাসপাতালে আগে থেকেই ভর্তি ছিলেন মানিকচকের আরও একজন। অন্য জায়গায় কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক ও পুণ্যার্থীদের অবাধে হরিশ্চন্দ্রপুরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ওপর চরম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

ইতিমধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের আইসিআই কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, “কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকলে সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তাই ওই সেন্টার বন্ধ করে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। প্রয়োজন পড়লে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আবার খোলা হবে।” প্রশাসনের যুক্তি হল একই সেন্টারে একশো জন থাকলে সেখানে একশো জনেরই শরীরে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে যদিও বাড়িতে থাকলে এক সঙ্গে এত জনের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু গ্রামবাসীদের আশঙ্কা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে পুরো গ্রাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তাই এলাকার লোকজন নিজেরা উদ্যোগী হয়ে মাইকিং করতে শুরু করেছেন। তাঁরা প্রত্যেককে অনুরোধ করছেন বাড়ি থেকে বের না হতে।

You might also like