
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রবিবারও জানিয়েছে তখনও পর্যন্ত গোটা দেশে যতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার এক তৃতীয়াংশেরই তবলিঘি জামাত যোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও তবলিঘি জামাত ফেরত ২০০-র বেশি মানুষ নিউটাউনের হজ হাউজ ও রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১০০-র বেশি বিদেশি নাগরিকও। কেউ ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক তো কেউ মায়ানমারের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে, বাংলায় তবলিঘি ফেরতদের ঠিকমতো টেস্ট করানো হচ্ছে না। কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলেও টেস্ট না করে জানা যাবে না তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত কতজন। তা ছাড়া বিজেপি এও অভিযোগ করেছিল, তবলিঘি জামাত ফেরত অনেককেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি। চিহ্নিতও করেনি রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন
তাবলিঘি জামাত প্রধানের করোনা টেস্ট হয়েছে, জানালেন আইনজীবী
হয়েছে। মুখ্যসচিব হিসাব দিয়ে জানিয়েছিলেন, তবলিঘি জামাত ফেরত কতজনকে কোথায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কীভাবে কনট্যাক্ট ট্রেসিং হয়েছে। তা ছাড়া সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে তিন জন তবলিঘ ফেরত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলদিয়া বন্দরের কর্মী।
এই চাপানউতোরের পরিস্থিতিতে কলকাতায় এসে পৌঁছনো আন্তঃমন্ত্রক টিমের কর্তারা বুধবার রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে জানিয়েছেন, তাঁরা রাজারহাট ও হজ হাউজের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে চাইছেন।
সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁরা রাজারহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দেন। এই দুই কেন্দ্র ছাডা়ও এনআরএস, বেলেঘাটা আইডি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো একাধিক কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করার কথা কেন্দ্রীয় দলের। কলকাতা ও হাওড়ার একাধিক বাজার ও বস্তি এলাকাও পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় টিম। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা, কোভিড হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘুরে দেখতে চান তাঁরা।