
আলিমুদ্দিনে কামান দাগলেন তন্ময়, ‘সব দায় নেতৃত্বের, নিচুতলার কর্মীদের নয়’
রাজ্যে সিপিএম শূন্য হয়ে যাওয়ার পর আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধেই কামান দাগতে চাইলেন উত্তর দমদমের পরাজিত সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। সংবাদমাধ্যমে তিনি সরাসরি বলেন, “এই ব্যর্থতার দায় নেতৃত্বের। আমাদের নয়। নিচু তলার কর্মীদের নয়। লোকসভায় শূন্য হওয়ার পর কেউ দায় নেননি। বিধানসভায় হারের পর কেউ দায় নেবেন না। শুধু স্তালিন কপচাবেন তা হবে না। এটা স্তালিনের যুগ নয়।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন নেতৃত্বেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইলেন গৌতম দেবের স্নেহধন্য এই নেতা? কারণ তিনিও তো দলের নেতৃত্বেরই অংশ। উত্তর ২৪ পরগনার মতো বিরাট জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।
অনেকের মতে, তন্ময়ের তির সূর্য মিশ্র, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমদের দিকেই। তন্ময় বলেছেন, “দলের সর্বক্ষণের কর্মীরা চার-পাঁচ হাজার টাকা ভাতা পান। তাঁদের কেন দৈনিক মজুরির নিয়ম মেনে ২১ হাজার টাকা দেওয়া হবে না।” তাঁর কথায়, “আমাদের ফুটো বাটি হাতে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছেন নেতৃত্ব।”
এই পরাজয়ের পর সিপিএমের অনেকেই আলোচনা করতে শুরু করেছেন, পার্টি টিকিয়ে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে। স্বাধীনতার পর বামেদের এত বড় বিপর্যয়, এমন লজ্জাজনক হার কখনও হয়নি বাংলার বিধানসভায়। প্রায় সমস্ত প্রার্থী জামানত খুইয়ে বসে রয়েছেন। এর দায় কার?
সিপিএমের অনেকে ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, একে তো জোটের শর্টকাট রাজনীতি করতে গিয়ে পার্টির সর্বনাশ করেছেন নেতৃত্ব। দলের মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও তা কার্যত ধমকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একা কংগ্রেস রক্ষে নেই তার উপর আব্বাস দোসর। উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতার কথায়, এক সংখ্যালঘু পলিটব্যুরো সদস্য কার্যত পার্টিকে পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে ফেলেছেন। যা ইচ্ছে করছেন। যা হওয়ার তাই হয়েছে।
তবে প্রকাশ্যে নেতৃত্বের সমালোচনা করায় তন্ময়ের বিরুদ্ধে আলিমুদ্দিন কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কিনা এখন সেটাই দেখার।