গত কয়েক দিন ধরে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথকুকুরদের একই ধরনের কয়েকটি উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল। তাদের কোমর থেকে পিছনের পা অবশ হয়ে যাচ্ছিল। তাদের রোগের উপসর্গ দেখে পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা আশঙ্কা করছিলেন ক্যানাইন ডিসটেম্পার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে কুকুরগুলো।
এই খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। প্রথমে মৃত কুকুরদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাণিসম্পদ বিভাগ কুকুরগুলির মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে চেয়েই এই পদক্ষেপ করে। তারপরে বুধবার আক্রান্ত কুকুরগুলোর লালারস সংগ্রহ করার জন্য বের হয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ টিম। এতে জেলার পশুপ্রেমীরা খুশি হলেও তাঁরা আক্রান্ত কুকুরদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার দাবি করেছেন।
ক্যানাইন ডিস্টেম্পার রোগটি নতুন নয়। গৃহপালিত কুকুরদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয় বলে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। পথকুকুরদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ার জন্য এই রোগের প্রকোপ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। রায়গঞ্জে পথকুকুরদের মধ্যে এই ছোঁয়াচে রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় চিন্তায় পশুপ্রেমীরা।
পুরো শহরে এই রোগের লক্ষণ রয়েছে এমন অন্তত সাতটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যখন সারা দেশে দিনে দিনে বাড়ছে তখন কুকুরদের মধ্যে ভাইরাসঘটিত ছোঁয়াচে রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় শহরের মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। যে সব এলাকার কুকুরের মধ্যে এই উপসর্গ দেখা দিয়েছে সেই সব এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে মঙ্গলবারই।