
দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক, রাজ্য কমিটিকে সুপারিশ জেলা তৃণমূলের
গত বছরের শেষদিক থেকেই অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তৃণমূলের। শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দুকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল নবান্ন,। তারপর কালক্ষেপ না করে শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন সৌম্যেন্দু। বাকি ছিলেন শিশির অধিকারী ও সেজো ছেলে দিব্যেন্দু। দু’জনেই সাংসদ। এগরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় হাজির হয়ে শিশিরবাবুও দলের চক্ষুশূল হয়েছেন।
দিব্যেন্দুকে অবশ্য সরাসরি বিজেপির মঞ্চে এখনও দেখা যায়নি। তবে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই বললেই চলে। সৌমেন মহাপাত্র এখন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তিনি বলেছেন, অন্য দলে না গেলেও ভোটের আগে থেকে নিষ্ক্রিয় ছিলেন দিব্যেন্দু। দলের বিরুদ্ধে গোপনে কাজ করেছেন তিনি। সমস্ত প্রমাণ সহ রাজ্য কমিটির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ পাঠিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
দিব্যেন্দু বিজেপির মঞ্চে না উঠলেও তাঁকে দেখা গিয়েছে কখনও স্থানীয় সাংসদ হিসেবে হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সভার ব্যবস্থাপনা তদারকি করছেন। আবার কখনও অমিত শাহকে রিসিভ করতে গিয়েছেন হেলিপ্যাডে।আবার নন্দীগ্রমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে কটাক্ষও করেছিলেন।
তবে এ নিয়ে দিব্যেন্দু সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। শুধু বলেছেন, “দল আমার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলে, তবেই আমি সেই প্রসঙ্গে কথা বলব। তার আগে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’