
বেশির ভাগ জায়গাতেই খাবারের আকাল। কোথাও বাজারে মাছ নেই তো কোথাও মাংসের দোকান বন্ধ। শহর-মফসসলের ভাতের হোটেলও বন্ধ। অধিকাংশ জায়গায় এগুলোই ভরসা পথের কুকুরদের।
পুরুলিয়ার আনাড়ায় আশা দেবী নামে এক মহিলা তাঁর পাড়ার কুকুরদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। আসানসোলের লক্ষ্মীও মুর্মুও রান্না করা খাবার অল্প করে হলেও দিচ্ছেন। তাঁরা আবেদন করছেন পাড়ায় পাড়ায় যাতে উচ্ছিষ্টটুকু নষ্ট না করে কুকুরদের দিয়ে দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে চলছে লকডাউন। পরিবহণ মোটের উপরে বন্ধ। সেই কারণেই বাজারে মাছ-মাংসের জোগান কম। কলকারখানা-অফিস-কাছারি বন্ধ থাকায় ভাতের হোটেলও বন্ধ। তাই খাবার না পেয়ে সংকটে পথের কুকুর। তারা এদিক সেদিক তাকিয়ে হতাশ হয়ে চলে যাচ্ছে খাবার না পেয়ে।
রায়গঞ্জ পিপলস ফর অ্যানিম্যালসের সদস্যরা এখন পথের কুকুরদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। ক’দিন ধরেই রোজ দুপুরে তাঁরা খেতে দিচ্ছেন পথের কুকুরদের। দুপুরে তাঁদের এক ডাকেই হাজির হয়ে যাচ্ছে সারমেয়র দল। রবিবার থেকে মঙ্গলবার তাদের কার্যত কোনও খাবার জোটেনি। খাবারের অভাবে তারা ধুঁকছিল। তারপর থেকে ক’দিন খেতে পেয়ে এখন তারা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
ওই সংগঠনের সদস্য অজয় সাহা জানিয়েছেন যে তাঁরা নিজেরাই খাবার বানিয়ে কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন। বিস্কুট কিনেও খাওয়াচ্ছেন। আপাতত একবেলাই তাঁরা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।