
শনিবার সকালে প্রথমে সিউড়ির নেতাজি মার্কেটে গিয়ে উপস্থিত হন রাজীববাবু। সেখানে গিয়ে আড়তদারদের কাছে আলুর পাইকারি দাম জিজ্ঞাদা করেন তিনি। আলু কেনার বিলের কপিও দেখেন তিনি। সেখান থেকে সিউড়ি- সাঁইথিয়া বাইপাস এলাকায় থাকা আনাজ বাজারেও হানা দেন মহকুমা শাসক। সেখানেও আলুর দাম সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তিনি।
বাজারে গিয়ে আলুর দাম দেখে মাথায় হাত প্রশাসনের কর্তাদের। বিভিন্ন জায়গায় যে দামে আলু বিক্রি হচ্ছে তা দেখে অবাক হন রাজীববাবু। নেতাজি মার্কেটে তিনি জানতে পারেন আলুর পাইকারি বাজারে ৫০ কেজি আলু ১৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি আলুর দাম ২৭ টাকা ২০ পয়সা। অন্যদিকে টিনবাজার এলাকায় আড়তদারের কাছে ৫০ কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৩৯৫ টাকা দরে। অর্থাৎ সেখানে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৭ টাকা ৯০ পয়সা। দামের তফাত হওয়ায় সেখানকার আড়তদারের কাছে হিমঘরের কাগজ দেখতে চান মহকুমা শাসক। সেই কাগজ দেখে তাঁরা অবাক।
এখন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন জায়গায় আলুর দামে হেরফের কেন? আড়তদারদের একাংশের জবাব, বিভিন্ন জায়গায় হিমঘরে আলুর দাম বিভিন্ন রকম নিচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁরা হিমঘর থেকে প্রশাসনের নির্ধারিত দরে আলু পাচ্ছেন না। কারণ সরাসরি হিমঘর থেকে তাঁদের কাছে আলু আসছে না। মাঝে রয়েছে আর এক শ্রেণির মানুষ। তাঁরাই বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন আড়তদারদের কাছে। ফলে তাঁরাও ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সূত্রের খবর, হিমঘর থেকে কেন আলুর এই দামের হেরফের হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক। এই দামের হেরফের যাতে না হয়, সেটা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।