
শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ মেদিনীপুরগামী একটি ডাম্পার একটি চারচাকা গাড়িকে ধাক্কা মারে। পিছন থেকে প্রবল ধাক্কার জেরে কলকাতা থেকে মেদিনীপুরগামী ওই গাড়িটি ডিভাইডার টপকে উল্টোদিকের রাস্তায় চলে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ওই গাড়িটি তখন উল্টো দিক থেকে আসা পরপর দুটি চার চাকার গাড়িকে ধাক্কা মারে।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ডাম্পারের ধাক্কার অভিঘাতে তিনটি গাড়িতে পরপর দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে এক মহিলা-সহ সাত জন আহত হন। মহিলার পা ভেঙে গেছে। তাঁর বুকেও প্রবল আঘাত লেগেছে।
তীব্র শব্দ শুনে সঙ্গে সঙ্গেই এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ আেসার আগেই আহত সাত জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকার লোকজন। আঘাত গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সেখান থেকে দু’জনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার হাসপাতালে। এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি চার জনকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন কোনও ছোট গাড়িরই দোষ ছিল না। চার চাকা ডাম্পারের দোষেই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই ডাম্পারটিকে অবশ্য ধরা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ যখন আসে তখন জাতীয় সড়কে যানজট বেধে গেছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ও উলুবেড়িয়া ট্রাফিক গার্ড এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। প্রায় আধঘণ্টা পরে ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়। ঘণ্টাখানের পরে রাস্তার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। পুলিশ অবশ্য ওই ডাম্পারটিকে ধরতে পারেনি।
৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গতির কারণে এর আগেও দুর্ঘটনা হয়েছে। কলকাতা থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে ভারী যান চলাচল করে। এই জাতীয় সড়কের পাশে উলুবেড়িয়া শহরাঞ্চল হওয়ায় বেশ কয়েকটি অঞ্চল দুর্ঘটনাপ্রবণ। বিশাল এই এলাকায় পুলিশের তেমন নজরদারি নেই বলেও বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ তুলেছেন। জনবহুল এলাকাগুলির কাছে ও চৌমাথাগুলিতে পুলিশের পাহারা থাকে তবে রাস্তার বাকি অংশে গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ।