এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় লোকজন প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দুটি কুকুরের দেহ পাওয়া গেছে তবে বিষ মেশানো খাবার খাওয়া বেশ কয়েকটি কুকুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকটি কুকুর অসুস্থ। এভাবে পথের কুকুরদের মেরে ফেলার ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশুপ্রেমী সংস্থা ‘উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিম্যালস’। মূলত যে মহিলার বিরুদ্ধে এই গুরুর অভিযোগ তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়গঞ্জ থানার উদয়পুর এলাকায় সকালে একটি কুকুরের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এদিক ওদিক খোঁজাখুজি করলে আরও একটি কুকুরকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এলাকার বেশ কয়েকটি কুকুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে লক্ষ্য করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিম্যালসের সদস্যরা। খবর দেওয়া হয় কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পুলিশকর্মীরাও। মৃত কুকুরগুলিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই পশুপ্রেমী সংস্থার পক্ষ থেকেও ওই মহিলার বিরুদ্ধে কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর পরিবার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত মঞ্জু নন্দী বলেন, “আমি অনেক বার সকলকে বলেছি যে কুকুরগুলিকে বেঁধে রাখতে বা অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যেতে। কেউ শুনত না। আমি নিজে ওদের অন্য কোথাও ছেড়ে দিয়ে আসব বলেছিলাম। ওরা সেকথাও শোনেনি। আমি লাঠি নিয়ে কুকুরগুলোর দিকে তেড়ে যেতাম। ওই কুকুরগুলো আমার অনেক ক্ষতি করেছে। তবে আমি কোনও কুকুরকে মারিনি।” অন্য কাউকে দিয়ে কুকুরের খাবারের বিষ মেশানোর অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।