
দুর্গাপুজোর আগে থেকেই বাঙালিদের পকেটে টান পড়ে। জামাকাপড় কেনা থেকে শুরু করে পুজোর কটাদিন ঠাকুর দেখা, বাইরে খাওয়ার জন্য ভালোই খরচ হয়। তাই লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজারের দাম শুনে কার্যত কপালে চোখ ক্রেতাদের। পুজোর পর সপ্তাহভর অবশ্য জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি ছিল না। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার ফের আগুন।
কিন্তু কেন এই দাম বৃদ্ধি?
বিক্রেতারা বলছেন টানা বৃষ্টিই এর অন্যতম কারণ। পুজো ও তার আগে-পরে টানা বৃষ্টির কারণে জোগান কম হয়েছে। কিন্তু পুজোর আগে চাহিদা বেড়েছে। ফলে দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও সবাই বাধ্য হচ্ছেন জিনিস কিনতে।
কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা, সব জায়গাতেই একই হাল। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, বাজারের হাল হকিকত।
সবজি
ক্যাপসিকাম- ১৮০-২০০ টাকা/কেজি
টমেটো- ৫০-৮০ টাকা/কেজি
চন্দ্রমুখী আলু- ২২টাকা/কেজি
শসা- ৬০-৭০টাকা/কেজি
ফুলকপি-৩৫-৪০টাকা/পিস
পটল- ৮০টাকা/কেজি
কুমড়ো- ৩০ টাকা/কেজি
গাজর- ১৫০ টাকা/কেজি
ফল
আপেল ৮০-১২০টাকা কেজি
নারকেল- ৪০-৮০ টাকা/ পিস
নাসপাতি- ১০০-১২০টাকা/কেজি
পানিফল-৬০-৮০ টাকা/কেজি
আঙুর- ২৫০টাকা কেজি
বেদানা- ১০০-১২০ টাকা/কেজি
মুসাম্বি লেবু- ৮০-১১০ টাকা/কেজি
অবশ্য অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, যে কোনও পুজোর আগেই বাজারের দর একটু চড়া হয়। কিন্তু এ বার সেই দর বেশ খানিকটা চড়া বলেই দেখা যাচ্ছে। পুরো রাজ্যজুড়েই এক হাল। তাই ঘরে ঘরে দেবী লক্ষ্মীর পুজোর আয়োজন হলেও তা করতেই কালঘাম ছুটছে আম বাঙালির।
পড়ুন, দ্য ওয়ালের পুজোসংখ্যার বিশেষ লেখা…
https://www.four.suk.1wp.in/pujomagazine2019/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%81-%e0%a6%ab%e0%a6%b2-%e0%a6%90%e0%a6%b6-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b7-%e0%a6%93-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c-2/