
অভিজিৎ সরকার ও হারান অধিকারী—এই দুই নিহতের পরিবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের আবেদন ছিল, মামলার তদন্তে শীর্ষ আদালতের নেতৃত্বে ‘সিট’ গঠন করে তদন্তভার দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। এদিন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা জানতে চান, রাজ্য এ নিয়ে কী ভাবছে? সিট গঠন নিয়ে কী মতামত?
রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা হয়েছিল। তাতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় সবকটি ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সেই বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।
এমনকি কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা অনেকটাই থামানো গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপগুলি প্রশাসনিক স্তরে নিয়েছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী। ৭-৮ মে’র পর রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেও গত ১৩ মে মন্তব্য করে হাইকোর্ট।
যদিও বিজেপির বক্তব্য, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা দেখতে রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। তা ছাড়া বর্ধমানে এসে কাকলি ক্ষেত্রপালের গ্রামে গিয়েছিল জাতীয় তফসিলি জাতি, উপজাতি কমিশন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নিজে ভোট পরবর্তী হিংসা দেখতে গিয়েছিলেন শীতলকুচি এবং নন্দীগ্রামে। তা নিয়েও বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্ট হলফনামা দিতে বলল রাজ্য সরকারকে।