
শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে নাকা চেকিং করা হয়। প্রয়োজন ছাড়া যাঁরা এদিন পথে বেরিয়েছিলেন তাঁদেরই কপালে জুটছে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি। ডোমজুড় থানা এলাকার বাঁকড়ায় মাস্ক না পরে বাইরে বেরোনোর জন্য এক যাত্রীকে জামা খুলিয়ে গেঞ্জিকে মাস্ক হিসাবে পরিয়ে দেয় পুলিশ। হাওড়া শহরের ব্যাঁটরা থানা এলাকায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরনোর জন্য আরোহীর কাঁধে সাইকেল তুলে বাইরে বাড়ি পাঠানো হয়।
লকডাউনে যে সব বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে তার বাইরে কাউকে দেখলে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করেছে। দরকারে লাঠিও চালিয়েছে। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনা, আসানসোল প্রভৃতি জায়গা থেকে লাঠি চালানোর খবর এলেও হাওড়ায় সে ভাবে কড়া হতে দেখা যায়নি পুলিশকে।
পুলিশ এদিন ধরপাকড়ও করেছে। কত জনকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে নিয়ম ভাঙার জন্য সেকথা এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে সকালের দিকে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ করার পরে দেখা যায় বেলা বাড়তে রাস্তায় লোক একেবারেই নেই। নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির সঙ্গে কারখানা থাকলে তা চালু রাখা যাবে। তাই শহরের অধিকাংশ কারখানা এদিন বন্ধ ছিল। এ জন্য অনেক কারখানায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাজ চলেছে বলে জানা গেছে। কোথাও কোথাও রবিবার কাজ হতে পারে।
শহরে জরুরি পরিষেবা এদিন চালুই ছিল। তবে অধিকাংশ ওষুধের দোকান বন্ধ ছিল। বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তারের সংখ্যা এখন কম। এই অবস্থায় জরুরি দরকারে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাই হাসপাতাল লাগোয়া ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য ওষুধের দোকানের বেশির ভাগই বন্ধ ছিল শনিবার।
করোনা আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পরে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হাওড়া জেলায়। এখনই আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা খুব শীঘ্রই পাঁচ অঙ্কে পৌঁছে যাবে। রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৩ জন। জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৯,৩৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন যদিও এখনও করোনা পজিটিভ এমন রোগীর সংখ্যা ২১৩৮। জেলায় ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। সুস্থ হয়ে উঠেছন ৬৯৫৫ জন।