Latest News

বাংলায় করোনা আক্রান্ত ১৬৭৮, মৃত ১৩০, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা মিলছে না রাজ্যের সঙ্গে

মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের হিসেব মিলছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের ক্ষেত্রে, যা এতদিন ধরেই প্রত্যাশিত ছিল। সোমবার থেকেই প্রথম রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের হিসেব দিয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। তার আগে পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা অ্যাকটিভের সংখ্যা অর্থাৎ এই মুহূর্তে কত রোগীর শরীরে করোনার জীবাণু সক্রিয় রয়েছে, সেটুকুই বলা হতো।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: আক্রান্তের সংখ্যাও এক। মিলছে মৃতের সংখ্যাও। কিন্তু গরমিল হচ্ছে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যায়। রাজ্যের তরফে যে হিসেব দেওয়া হচ্ছে, কেন্দ্র বলছে তার থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বাংলায়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। শনিবার সকালে যে আপডেট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে সকাল আটটা পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৭৮। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ১৬০। ওই আপডেট বলছে, সংক্রমণকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৩৬৪ জন।

গতকাল সন্ধেবেলা রাজ্য সরকার যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এ রাজ্যে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১৬৭৮। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৯ জন। ফলে রাজ্যে মোট কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৮৮। আরও ৭২ জন করোনা সংক্রামিত ব্যক্তি মারা গেছেন কো-মর্বিডিটির কারণে। অর্থাৎ করোনা সংক্রমণ শরীরে থাকা অবস্থায় এ রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। এখনও পর্যন্ত সেরে উঠেছেন মোট ৩২৩ জন। এই সুস্থতার সংখ্যাতেই রয়েছে গরমিল।

আরও পড়ুন Breaking: ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে আরও ৮ টি ট্রেনের ব্যবস্থা করছে নবান্ন, কোথা থেকে কতজন ফেরানো হচ্ছে জানতে পড়ুন

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন সম্ভবত টাইপ করার ভুলেই কেন্দ্রর বুলেটিনে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অন্য দেখাচ্ছে।

মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের হিসেব মিলছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের ক্ষেত্রে, যা এতদিন ধরেই প্রত্যাশিত ছিল। সোমবার থেকেই প্রথম রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের হিসেব দিয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। তার আগে পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা অ্যাকটিভের সংখ্যা অর্থাৎ এই মুহূর্তে কত রোগীর শরীরে করোনার জীবাণু সক্রিয় রয়েছে, সেটুকুই বলা হতো।

এর কারণ হিসেবে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেছিলেন, আমাদের কাছে সব জায়গা থেকে তথ্য আসছিল না। এখন সরকারি, বেসরকারি সব ল্যাব থেকে তথ্য আসা শুরু করেছে। ফলে এখন আমরা রোজ মোট আক্রান্তের সংখ্যা জানাতে পারব। সেই মতোই বিস্তারিত বুলেটিন প্রকাশ করছে রাজ্য রোজ।

You might also like