
বর্ধমানে বিজেপি এজেন্টের বৌদিকে ভরা বাজারে কান ধরে ওঠবোস
ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর এলাকা। ২ নম্বর পঞ্চায়েতের হ্যাচারি রোড ক্যানেলপাড়ে ভরা বাজারের মধ্যে এক মহিলাকে একটানা কান ধরে ওঠবোস করানো হচ্ছে এমন দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, এক মহিলা কান ধরে উঠছেন আর বসছেন। চারপাশে লোকজনের ভিড়। বাজারের থলি হাতে পাশেই দাঁড়িয়ে ওই মহিলার মেয়ে। আর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যা মিতা দাস। অভিযোগ, তিনিই নাকি ওই মহিলাকে কান ধরে ওঠবোস করাচ্ছিলেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিতাদেবী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলার ভাসুরের নাম প্রশান্ত। বর্ধমান উত্তর বিধানসভার ৩১ নম্বর জেলা পরিষদের একটি বুথের দায়িত্বে ছিলেন প্রশান্তবাবু। তাঁর বৌদিও বিজেপির সমর্থক। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ভাসুর ও বৌদি দুজনেই বিজেপির সমর্থক হওয়ায় তাঁদের পরিবারকে এই চরম লজ্জাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল। ভরা বাজারে এক মহিলার মানসম্মান নিয়ে টানাটানি হল।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় বলেছেন, “ওই মহিলার ভাসুর আমাদের বুথ এজেন্ট ছিলেন। তাই এই শাস্তি পেতে হল। তিনি একজন বাড়ির বৌ, কারও সহধর্মিনী। সকলের সামনে অপমানিত হতে হল তাঁকে। পুলিশকে আমরা জানিয়েছি, কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
ভরা বাজারে বিজেপি বুথ এজেন্টের বৌদিকে কান ধরে ওঠবোস। চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে#WestBengalPolls #WestBengalElections2021 #westbengalassemblyelection2021 pic.twitter.com/oiOgkj5Cee
— The Wall (@TheWallTweets) May 6, 2021
এদিকে গোটা ঘটনাতেই তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করে মিতাদেবী বলেছেন, “এটা নিন্দনীয় ব্যাপার। আমি কিছু করিনি। আমার নামে মিথ্যা প্রচার হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষই এই কাণ্ড করেছে। আমি ঘটনাচক্রে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ” মিতা দেবীর আরও অভিযোগ, বুধবার বিজেপি কর্মীরা এলাকায় ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে দুজনকে ধরেও নিয়ে গিয়েছিল। ওই মহিলার স্বামীও ছিলেন সেই দলে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এলাকায়। তাই জন্য এলাকাবাসী ক্ষেপে গিয়েছিল। আজ ওই মহিলা ঘর থেকে বের হলে তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে স্থানীয়রা। মিতাদেবীর দাবি, তাঁরা গিয়েই ওই মহিলাকে বাঁচিয়েছেন।
বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিকের বক্তব্য, “এই রকম ঘটনা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আমাদের কোনও কর্মী এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।”