
বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কাঁকিনাড়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা ধর্মেন্দ্র সিং ওরফে ধরুয়াকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুখ ঢাকা দু’জন মোটর সাইকেলে চেপে এসেছিল। মাথা লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েই তারা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। গুরুতর অবস্থায় ধরুয়াকে বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা নিয়ে অর্জুন সিং বলেন, “আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আমার বিরুদ্ধে ৮৭টি ফৌজদারি মামলা করেছে। এটা নিয়ে ৮৮টি হল।” তিনি আরও বলেন, “সবাই জানে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে তৃণমূলের ভিতরকার টাকাপয়সার গণ্ডগোল নিয়ে। দিনের বেলা গুলি চলেছে। যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে সেখানে সিসিটিভিও রয়েছে। পুলিশ তো চাইলে এক মিনিটে দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলতে পারে।”
জানা গিয়েছে, ধরুয়া দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল করেন। অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠও ছিলেন তিনি। অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি বিজেপিতে গেলেও ফের পুরনো দলে ফিরে আসেন। শাসকদলের নেতাদের বক্তব্য, বিজেপির চরিত্র বুঝে তৃণমূলে ফিরে এসেছিল বলেই ধরুয়ার উপর হামলা চালিয়েছে অর্জুন-বাহিনী।
গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “অর্জুনের লোকজনই ধরুয়াকে গুলি করেছে। অর্জুন নিজে ২০০ লোককে খুন করেছে। ওর গায়ে রক্তের দাগ। সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। বিজেপির ছাতার তলায় গিয়ে অর্জুনের রক্ষা হবে না।”
অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ রুটিনে পরিণত হয়েছে। গত বছর লোকসভা ভোটের সময় থেকে টানা তিন মাস গোলাগুলি চলেছিল ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া-সহ আশপাশের এলাকায়। তারপর মাঝেমধ্যেই বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এমনকি লকডাউনের মধ্যেও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে ভাটপাড়ায়। বুধবার ফের একবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে ফের সরগরম ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি।