
সলিমুদ্দিনের কথায়, পঞ্চায়েতের প্রধান সুফিয়া খাতুনের স্বামী জিয়াবুল আলি বছর দুয়েক আগে তাঁর জমিতে পুকুর কেটে দেওয়ার জন্য জমির খতিয়ানের প্রতিলিপি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পুকুর আজও কাটা হয়নি।
এখানেই প্রশ্ন পুকুর চুরি করল কে? মানে পুকুর কাটার টাকা কে নিয়েছে? সে বিষয়ে জানতে চাইলে কোনও উত্তর না দিয়ে চুপ করেই থেকেছেন পঞ্চায়েতের প্রধান সুফিয়া খাতুন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুফিয়াকে সামনে বসিয়ে রেখে সব কাজ আসলে পরিচালনা করেন তাঁর স্বামী জিয়াবুল আলি। ফলে সুফিয়া খাতুন কোনও ব্যাপারেই কিছু জানেন না।
এলাকার লোকের অভিযোগ, স্ত্রী প্রধান হওয়ার আগে জিয়াবুলের একটা ছোট লটারির দোকান ছিল স্থানীয় বাগডোবা এলাকায়। মাথা গোঁজার আস্তানা বলতে বড়ুয়া গ্রামে দোচালা একটা টালির ঘর ছিল। স্ত্রী প্রধান হওয়ার পরে সেই লটারির দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন জিয়াবুল। এখন চার চাকা সাদা গাড়িতে ঘুরে বেড়ান তিনি। পুরনো টালির বাড়িটা পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। পাশেই প্রাসাদোপম পাকা বাড়ি বানিয়েছেন জিয়াবুল। আয়ের উৎস কী তা নিয়েও মুখ খুলতে চাননি জিয়াবুলের স্ত্রী তথা আলতাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুফিয়া খাতুন।
পুকুর চুরির ব্যাপারে খোঁজ করতে করণদিঘি ব্লক অফিসে গেলে বিডিও বিজয় মুক্তান বলেন, “আলতাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে পুকুর না খুঁড়েই টাকা নয়ছয়ের বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।”
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির একের পর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত বিবৃতি দিতে হয়েছিল। এরই মধ্যে একশো দিনের কাজে অনিয়ম নিয়েও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কাজ না করেই নদিয়ার হাঁসখালিতে একশো দিনের কাজে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলেরই এক নেতা। তার পরের দিনই সেই ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয় নিয়ে অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও।