Latest News

আট দিনে ১০০ টি কন্টেইনমেন্ট জোন বাড়ল রাজ্যে, বেশিটাই কলকাতায়, তারপর উত্তর চব্বিশ পরগনা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত চার দিনে ৩৪টি কন্টেইনমেন্ট জোন বাড়ল সারা বাংলায়। গত সোমবার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছিলেন, রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫১৬টি। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে এখন কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫৫০টি।

তবে গত আট দিনের হিসেব দেখতে গেলে রাজ্যে স্পর্শকাতর এলাকার সংখ্যা বেড়েছে ১০০-র বেশি। ৩০ এপ্রিল বাংলার কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৪৪৪। ৮ মে সেটা হল ৫৫০।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে কলকাতায়। এই শহরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩১৯। ৩০ এপ্রিল এই সংখ্যা ছিল ২৬৪। অর্থাৎ আট দিনে কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন বেড়েছে ৫৫টি। এর মধ্যে বোরো ২ এবং ৪ এলাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তবে শেষ চার দিনে মাত্র একটি কন্টেইনমেন্ট জোন বেড়েছে কলকাতায়।

কলকাতার সংক্রমণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে প্রশাসনের মধ্যে। এই ৩১৯টি কন্টেইনমেন্ট জোন ১৪৪টি ওয়ার্ডে। কাশীপুর, বেলগাছিয়া, বেলেঘাটা, রাজাবাজার, গার্ডেনরিচ, তপসিয়া, মেটিয়াবুরুজের মতো এলাকা নিয়ে চিন্তায় মহানগরের প্রশাসন। গত কয়েকদিনে ১৫ নম্বর বোরোতে যে ১৯টি কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে তাও ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে।

এরপর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা গত চার দিনে অনেকটাই বেড়েছে। ৪ এপ্রিল যা ছিল ৮১, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া। এই জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বিশেষ বাড়েনি। ৩০ এপ্রিল ছিল ৭২টি কন্টেইমেন্ট জোন। ৪ এপ্রিল দুটি বেড়ে হয় ৭৪। এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী হাওড়ার কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৭৬।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত চার দিনে রেড জোনে থাকা পূর্ব মেদিনীপুরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা দু’টি কমেছে। ৪ এপ্রিল ওই জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৯টি। আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭টিতে।

এছাড়াও হুগলিতে ১৮টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬টি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও দুটি-একটি করে কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে।

আরও পড়ুন চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে মৃত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন কলকাতারই, জানাল স্বাস্থ্যভবন

বাংলার রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনের জেলা কোনগুলি তা এখন আলাদা করে বলছে না বা চিহ্নিত করছে না রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী সেখান নিয়ম বদলে নিচ্ছেন জেলাশাসকরা। কেন্দ্রীয় ভাবে রোজ রোজ এ নিয়ে ঘোষণা সেই জন্য করা হচ্ছে না।

এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ১৪ দিনের মধ্যে যাতে হাওড়া, কলকাতা রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোন হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাজারে সশস্ত্র পুলিশের প্যারেড করাতে। কিন্তু পুলিশ নামলেও সংক্রামিত এলাকার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কলকাতায় যে ভাবে কন্টেইনমেন্ট জোন বাড়ছে তা প্রশাসনের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করছেন অনেকে।

দেখে নিন রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকা- 

You might also like