
রাত আড়াইটে নাগাদ শব্দ পেয়ে বাড়ির বাসিন্দারা ঘরের বাইরে বেরিয়ে দেখেন বাইরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোতে গেলে দেখেন বাইরে থেকে দরজা আটকানো রয়েছে। বেশ কয়েক জন লোক দরজার বাইরে রয়েছে বলে তাঁরা বুঝতে পারেন।
তখনই ওই দম্পতি পাশের বাড়িতে ফোন করে জানান যে বাড়িতে আগুন লেগেছে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাইরে থেকে দরজা খুলে দেন। বাড়ির মধ্যে আটকে পড়া মণ্ডল দম্পতিকে উদ্ধার করেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন অন্য পাঁচ জনও। তারপরে তাঁরা সকলে মিলে জল দিয়ে আগুন নেভান।
খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রাত তিনটে নাগাদ টহলদার পুলিশকর্মীরা সেখানে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ওই পাড়াটি নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। সেখানে রাস্তায় কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। তবে রাতেই পুলিশ সেখানে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। শুক্রবার সকালে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনায় এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আগে কোনও দিন এই ধরনের ঘটনা অন্তত এই এলাকায় ঘটেনি বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। এলাকা সূত্রে জানা গেছে, মণ্ডল পরিবারের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতাও নেই। তা হলে কারা কেন আগুন লাগাল তা চিন্তায় ফেলেছে। যদি ভুল করে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তা হলে তাদের প্রকৃত লক্ষ্য কারা তা নিয়েও চিন্তায় এলাকার লোকজন।
পুলিশ এখন এলাকার সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। দরকারে রাতের দিকে পাহারার ব্যবস্থাও করার পরামর্শ দিয়েছে। অনেক এলাকাতেই এলাকার লোকজন পালা করে রাত পাহারা দেন। তাতে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। তবে এলাকার লোকজন রাতপাহারার ব্যবস্থা করবেন কিনা এখনও স্থির হয়নি।