
দু’বছরের বেশি সময় হয়ে গেল হাওড়া পুর বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনও ভোট হয়নি গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের শহরটিতে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল হাওড়া জেলা সিপিএম। সেই মামলার রায়ে শুক্রবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মহম্মদ নিজামুদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, দ্রুত এই ভোট করাতে হবে।
২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর হাওড়া পুর বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছিল। তারপর সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, হাওড়া কর্পোরেশনে ভোট হলে তৃণমূল হেরে যাবে বুঝতে পেরেই ভোট করানোর ঝুঁকি নেয়নি নবান্ন।
সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, “কোভিডের জুজু দেখিয়ে কলকাতা কর্পোরেশন-সহ ১০০টা পুরসভার ভোট করায়নি রাজ্য সরকার। কিন্তু ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তো আর কোভিড ছিল না। আসলে এই সরকারটাই এমন অগণতান্ত্রিক যে, ভোট হলে বুথ দখল করে আর যেখানে তার সুযোগ নেই সেখানে ভোটই করায় না।”
কয়েকদিন আগে বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ ঝাড়গ্রামের সভা থেকে বলেছিলেন, “মাননীয়া, সময় থাকতে থাকতে পুর ভোট করিয়ে নিন। আর যদি ভাবেন বিধানসভার জল মেপে নিয়ে ভোট করাবেন তাহলে আপনার আর নির্বাচন করার অবস্থা থাকবে না। কারণ বিধানসভার পর তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে।”
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, শহর হাওড়ায় তৃণমূলের মধ্যে যে কোন্দল রয়েছে তাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই হয়তো ভোট করানোর ঝুঁকি নেয়নি শাসকদল। পুর বোর্ড থাকার সময়েই দেখা গিয়েছিল মেয়র পারিষদদের মধ্যে কী দ্বন্দ্ব। বিভাস হাজরার সঙ্গে শ্যামল মিত্রর গণ্ডগোল তো গৌতম চৌধুরীর সঙ্গে দক্ষিণ হাওড়ার নেতাদের কোন্দল।
তবে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য সরকার কী করে এখন সেটাই দেখার।