
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের আলোচনা চলছিল বলে জানা গেছে। স্কুল যে টাকা ধার্য করেছে ঠিক তার অর্ধেক টাকা দেবেন বলে জানিয়ে দেন অভিভাবকরা। স্কুল থেকে বেরিয়ে বুধবার দুপুরে এক অভিভাবক বলেন, “একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য স্কুল আমাদের কাছে যে টাকা দাবি করেছে আমরা তা কিছুতেই মানব না। আমরা বলেছি যে ওঁরা যে টাকা দাবি করেছেন আমরা তার অর্ধেক দেব। গত পরশু থেকে আমরা স্কুলে একথা খুব ভাল ভাবে বলে আসছি কিন্তু স্কুল এটা কিছুতেই মেনে নেয়নি। স্কুল থেকে বাহান্ন হাজার হাজার দুশো পঞ্চাশ টাকা চেয়েছে।”
বুধবার সকাল থেকে ফি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলে অভিভাবকদের। সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ। তারপরে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি স্থগিত করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের পক্ষ থেকে। অভিভাবকরা প্রশ্ন করেন, “বিল্ডিং ফান্ড ও বিদ্যুৎ বিলের জন্য আমরা কেন টাকা দেব? উন্নয়ন ফি তো আমরা দিচ্ছি।” অভিভাবকরা জানিয়েছেন যেখানে দু’মাসের উপরে স্কুল বন্ধ সেখানে ল্যাব ফি, কম্পিউটার ফি ও বিদ্যুতের বিল তাঁরা কোনও ভাবেই দেবেন না। এই টাকা কেন চাওয়া হচ্ছে তা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। স্কুলের শৌচালয়ে পর্যাপ্ত জল থাকে না এমনকী গরম কালে পাখা পর্যন্ত চলে না বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। এই স্কুলে প্রায় নশো জন পড়ুয়া রয়েছে।
অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে স্কুলের অধ্যক্ষ এইচএল পিটার জাানিয়ে দেন যে তিনি এব্যাপারে কোনও কথা বলবেন না।
বেলা এগারোটা নাগাদ পথ অবরোধ শুরু করেন অভিভাবকরা। তাঁরা রাস্তার উপরে বসে পড়েন। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমদম থানার পুলিশ। অভিভাবকদের সঙ্গে তারা কথা বলে। ফি বৃদ্ধির ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেয় পুলিশ। বলা হয় এব্যাপারে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এই আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।