Latest News

রাজ্যপালকে বরখাস্ত করা উচিত, কোচবিহার কাণ্ড নিয়ে ধনকড়কে আক্রমণ সুখেন্দুর

দ্য ওয়াল ব্যুরো: গতকাল রাজ্যপালের কোচবিহারের সফর, সেখানে ঘটনার ঘনঘটার পর প্রত্যাশা মতোই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখান থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখেন্দুশেখর রায়। সেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল পদের অমর্যাদা করা হচ্ছে। গতকাল রাজ্যপাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে যে চারজন মারা গিয়েছিলেন তাঁদের বাড়িতে যাননি।” এদিনও রাজ্যপালকে ‘দিল্লির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র।

গতকাল রাজ্যপালের সমগ্র কোচবিহার সফরে তাঁর সঙ্গে সারাক্ষণ ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তখনই অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সাংবিধানিক পদে থেকে কেউ এ ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে করে ঘুরতে পারেন কি না তা নিয়ে। এদিন সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, “একজন কুখ্যাত সাংসদকে নিয়ে রাজ্যপাল কোচবিহারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ওঁকে এক্ষুণি বরখাস্ত করা উচিত।”

প্রসঙ্গত কোচবিহারে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ পত্রযুদ্ধ হয়েছিল রাজ্যপালের। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এভাবে রাজ্যপাল যেতে পারেন কি না তা নিয়ে। এমন সফরে সাংবিধানিক এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। তার পাল্টা তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানও।

দিনহাটা শহরে একাধিক জায়গায় কালো পতাকা দেখানো হয় রাজ্যপালকে । এরপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন ধনকড়। পুলিশকে ডেকে বলেন এসব কী হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিওকে রাজ্যপাল বলেন, , ‘‘এটা পুরোপুরি পুলিশের ব্যর্থতা। আপনার জানা উচিত ছিল, রাজ্যপাল কখন, কোথায় যাবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ রকম অব্যবস্থা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি আমি। রাজ্যপালের গাড়ি আটকানোর সাহস হয় কী করে? আমি স্বপ্নেও ভাবিনি শাসন ব্যবস্থার এমন নগ্ন রূপ দেখব। সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এ রাজ্যের আইন ব্যবস্থা।” ধমক দেন দিনহাটা থানার আইসিকেও।

সেসবের পর এদিন রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করল তৃণমূল। ধনকড় রাজভবনে আসার পর থেকেই দেখা গিয়েছে গত আড়াই তিন বছরে নবান্নের সঙ্গে কী সংঘাতটাই না হয়েছে। অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় সরকারের গোড়া থেকেই সেই সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছে।

You might also like