
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিন চারেক আগেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল যে, বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে লোকসভায় দলনেতা পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারে কংগ্রেস। তাঁর জায়গায় পাঁচ জনের নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল রাজধানীর রাজনীতিতে। তাঁরা হলেন, শশী তারুর, মণীষ তিওয়ারি, গৌরব গগৈ, রবনীত সিং বিট্টু ও উত্তম কুমার রেড্ডি। কিন্তু বুধবার কংগ্রেসের সংসদীয় সলের বৈঠকের আগে জানা যাচ্ছে, এখনই অধীরকে সরাচ্ছেন না সনিয়া, রাহুলরা।
আগামী ১৯ জুলাই থেকে সংসদে বাদল অধিবশন শুরু হচ্ছে। এদিন কংগ্রেস সংসদীয় দল একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে, কী ভাবে বাদল অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কোণঠাসা করা যায় সে ব্যাপারে।
সূত্রের খবর, এই বাদল অধিবেশনে লোকসভায় অধীরের নেতৃত্বেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝড় তুলবে কংগ্রেস।
অধীরকে সরানোর বিষয়ে বেশ কয়েকটি কারণ ও যুক্তি শোনা যাচ্ছিল। এক, তিনি বাংলার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। তাই এক জনের দুই পদ রাখার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভিতরে আপত্তি রয়েছে। দুই, বাংলার ভোটের ফলাফলের পর দক্ষিণের একাধিক রাজ্য দাবি জানাতে শুরু করে, লোকসভায় দলনেতা তাঁদেরই প্রাপ্য। সেকারণেই শশী তারুর নামটা আসে। তিনি কেরলের সাংসদ।
তা ছাড়া অনেকে এও বলেন, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তৃণমূল এখন অন্যতম শক্তি। একুশের ভোটে বাংলায় যে ভাবে বিজেপিকে রুখে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তাতে জাতীয় স্তরে বাংলার শাসকদলের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। কংগ্রেসের অনেকের বক্তব্য, অধীর এতটাই তৃণমূল বিরোধিতায় কট্টর যে তিনি লোকসভায় নেতা থাকলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কক্ষ সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
তবে অধীরকে সরানোর বিষয়ে হাইকম্যান্ডও দোলাচলে। একটা অংশ যেমন চাইছেন এখনই অধীরের অপসারণ তেমন একটা বড় অংশ চাইছেন অধীরই থাকুন। লোকসভায় দলনেতা বদলের কথা পরেও ভাবার সুযোগ রয়েছে। তাই কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্র বলছে, এখনই বহরমপুরের সাংসদকে সরানো হচ্ছে না। তার মানে এই নয় যে পরে তা হবে না। তবে এটা স্পষ্ট, বাদল অধিবেশনে অধীরের নেতৃত্বেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় তুলবে কংগ্রেস।