
দিল্লিতে এমন ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটেছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সে ব্যাপারেই মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দিল্লিতে যেমন ধরা পড়েছে, আমাদের দেখতে হবে এখানে যেন না হয়।” তখন রাজীব সিনহা বলেন, “এখানেও দু’একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ভুয়ো টেস্ট চক্র কী করছে?
রাজীব সিনহা বলেন, এরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনও একটি নামকরা ল্যাবের নাম করে বলছে তাদের এজেন্ট। নমুনা নিয়ে সেখান থেকে টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে। কিন্তু এরা আসলে তা নয়।
মুখ্যসচিবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে আইসিএমআর অনুমোদিত ল্যাবের তালিকা যেন আপডেট থাকে। মানুষের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই তালিকা দেখে, সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তারপর টেস্ট করতে দিন। তবে সরকারি স্ট্যাম্প যাতে কেউ জাল না করতে পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক করেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক রাজ্য টেস্ট কমিয়ে দিচ্ছে। তাই সেখানে পজিটিভ সংখ্যা কম হচ্ছে। বাংলায় এখন প্রতিদিন ২৫ হাজার করে টেস্ট হচ্ছে। যত বেশি টেস্ট হবে তত বেশি সংক্রমণ চিহ্নিত হবে। তাতে চিকিৎসা করতে সুবিধা হবে। রাজ্যে মৃত্যু হারের পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। বেশির ভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর যে ২.২ শতাংশ মারা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ আবার কোমর্বিডিটি। অর্থাৎ তাঁদের অন্য কোনও ক্রনিক অসুখ ছিল।