
বুদ্ধবাবুর রবীন্দ্রপ্রেম সর্বজনবিদিত। সেফ হোমেও তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে একটি মোবাইল ফোনে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া বেশ কয়েকটি রবীন্দ্র সঙ্গীত চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। শুয়ে শুয়ে সেগুলি শুনেছেন তিনি।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যাপারে বরাবরই খুঁতখুঁতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জর্জ বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রাই তাঁর প্রিয়তমদের তালিকায়। পরবর্তী সময়ে শ্রীকান্ত আচার্যর গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রশংসা করতেন ঘনিষ্ঠ মহলে। হতে পারে সেফ হোম কর্তৃপক্ষ জেনেশুনেই কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শুনিয়েছে তাঁকে।
উডল্যান্ড থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একটি সেফ হোমে রয়েছেন বুদ্ধবাবু এবং তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। তাঁদের যিনি দেখাশোনা করেন সেই তপনবাবুও কোভিডে আক্রান্ত। তপনবাবুও অনেকট্টাই সুস্থ। তবে তপনবাবু যতক্ষণ না পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছেন ততদিন বুদ্ধবাবুরা বাড়ি ফিরতে পারবেন না। কারণ তাঁকে দেখাশোনা করবে কে?
এমনিতেই বুদ্ধবাবুকে সারা বছর অক্সিজেন সাপোর্টে থাকতে হয়। তাই কোভিড পরিস্থিতি তাঁর ক্ষেত্রে ঝুঁকিরই ছিল। শুরুটা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করলেও পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতেই হয়। চিকিৎসকদের বক্তব্য, বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা করোনামুক্ত হলেও তাঁর পোস্ট কোভিড চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।