Latest News

অন্ডালে ধসে তলিয়ে যাওয়া মহিলার দেহ উদ্ধার দশ দিন পরে

দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: টানা দশ দিন ধরে চেষ্টা করার পরে অবশেষে উদ্ধার হল পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের জামবাদ খোলামুখ খনির ধসে তলিয়ে যাওয়া মহিলার মৃতদেহ। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দেহ উদ্ধারের পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার লোকজন। তাঁরা পুনর্বাসনের দাবি করতে থাকেন। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অসন্তোষ মোকাবিলা করতে নামে সিআইএসএফ। তাঁরা এব্যাপারে ইস্টার্ন কোল ফিল্ডস বা ইসিএলকে জানাবে বলে আশ্বাস দিলে তারপরে মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে।

২০ জুন জামবাদ খোলামুখ খনির প্রায় বারোশো মিটার এলাকা জুড়ে ধস নামে। ধসের ফলে তলিয়ে যায় ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসন। পরিত্যক্ত ঘোষণা করা সত্ত্বেও সেখানে ছ’জনের একটি পরিবার বাস করত। রাত একটা নাগাদ যখন ধস নামে তখন অন্যরা চলে গেলেও শাহনাজ খাতুন নামে ওই আবাসনের এক জন বাসিন্দাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে নিশ্চিত ভাবে জানা যায় যে তিনি ধসে তলিয়ে গেছেন।

তারপরেই এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা ধসে নিখোঁজ মহিলার দেহ উদ্ধারের দাবি করার পাশাপাশি ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে পুনর্বাসনের দাবিও করেন। যদিও ইসিএল তখন জানিয়ে দেয়, ২০১৫ সালে ওই খনিটিকে পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয় এবং এলাকার আবাসনগুলোকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখনই ওই আবাসনে বসবাসকারী সকলকে তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল যদিও অনেকেই এই সব আবাসন দখল করে বসবাস করছেন। ২০ জুন রাতের ধসে তেমনই একটি আবাসন ভেঙে পড়েছিল।

পরের দিন সেখানে যান আসানসোলের মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি সেখানে গিয়ে অবৈধ কয়লা বিক্রি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ঘটনার প্রায় সাত ঘণ্টা পরে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তবে পরে আাবার ওই এলাকায় ধস নামলে কাজে বিঘ্ন ঘটে। টানা দশ দিন চেষ্টার পরে সোমবার রাতে দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হল।

রানিগঞ্জ-বরাকরের কয়লা খনি এলাকা ধসপ্রবণ। বর্ষাকালে বেশি ধস দেখা যায়। গত দশ দিনে এই এলাকায় দুবার ধস দেখা গেছে। তাই বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকেন এই সব এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ কয়লাখনির রমরমা ধসের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি সরকারি খোলামুখ খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্যও এলাকায় যখন তখন ধস নামছে।

You might also like