
গত ৬ সেপ্টেম্বর অনাস্থার নোটিস আনা হয় অর্জুনের বিরুদ্ধে। রবিবার ভোটভুটি হয়। বোর্ডের মোট সদস্য ছিলেন ১৫ জন। গত কালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১২ জন। উপস্থিত সকলেই অর্জুনের অপসারণের পক্ষে ভোট দেন। সাংসদ ঘনিষ্ঠ দুই সদস্য দূর্গা ভট্টাচার্য এবং বাবান চন্দ্র দে ও অর্জুন নিজে উপস্থিত ছিলেন না।
আপাতত সংসদের অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে রয়েছেন অর্জুন। ফোনে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি এলাকায় নেই। তাই এই সময়ে ভোট করিয়েছে। ১২ জন সদস্যকে জোর করে, ভয় দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভোট দিইয়েছে তৃণমূল।”
পাল্টা তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, অর্জুন এলাকায় নেই বলেই সদস্যরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছেন। কারণ ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছেন তিনিই।
তৃণমূলে থাকার সময়ে ভাটপাড়ার বিধায়ক থাকার পাশাপাশি পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। সেই সময়েই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটের পরে সোমনাথ শ্যাম নামের তৃণমূল নেতা ব্যারাকপুর কমিশনারেটে অভিযোগ করেন, পুরসভার জাল প্রকল্পের মাধ্যমে সমবায় ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছেন অর্জুন।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার অর্জুনের বাড়ি মজদুর ভবনে হানা দিয়েছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের সিইও-সহ দুজন গ্রেফতারও হয়েছেন। তৃণমূলের বক্তব্য, খুব শিগগিরই গ্রেফতার হবেন অর্জুন। তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে। যদিও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে এ নিয়ে কোনও কর্তা কিছু বলেননি।
ব্যাঙ্কের বোর্ড সদস্যরা জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার ফের বৈঠক হবে। সেখানে নতুন কাউকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।