দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রোগী আসা নিয়ে বিক্ষোভ চরম আকার নিল মঙ্গলবার। বিক্ষোভ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে। অভিযোগ, তখন বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে কেউ গুলি ছোড়ে। পুলিশ শূন্যে গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ২০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে সাতাশ জনকে জামুড়িয়ার চুরুলিয়ায় আখলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এমন খবরে এলাকার লোকজন সাময়িক ভাবে বিক্ষোভ দেখান। পরে বিক্ষোভ উঠেও যায়। তবে মঙ্গলবার সকালে ফের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল ওই জায়গা থেকে কোয়ারান্টাইন সেন্টার সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন পুলিশকর্মীরা। আচমকাই পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, আত্মরক্ষায় প্রথমে পুলিশও পাল্টা ইট ছোড়ে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় আসানসোল পুলিশ লাইন থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী। মহিলা পুলিশকর্মীরাও ছিলেন সেই দলে।
তখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধ্বস্তাধস্তি বেধে যায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। গুলি চালানো নিয়ে অবশ্য সরকারি ভাবে কোনও কথা বলা হয়নি।
এই ঘটনায় এক আধিকারিক-সহ কুড়ি জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায় বলেন, “কোয়ারান্টাইন সেন্টার ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। জামুড়িয়া থানার ওসি সুব্রত ঘোষ-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।” ওসিকে ভর্তি করা হয়েছে আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ আধিকারিক নবনী কর্মকার ও কনস্টেবল রাম প্রকাশকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসানসোল কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সায়ক দাস বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”