
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ।
তব ভুবনে তব ভবনে
মোরে আরো আরো আরো দাও স্থান॥
দু’সপ্তাহে দু’বার বিয়ে তবে পাত্রপাত্রী একই। করোনায় সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে দুপুর একটায় বেরিয়ে এলেন সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অপেক্ষার অবসান হল স্ত্রী পিয়ালির। উপস্থিত সকলের চোখে মুখেই তখন আনন্দের ছাপ।
সুপ্রিয় আসতেই পুরো গ্রাউন্ড ফ্লোর ভরে উঠল করতালিতে। বাজল শাঁখ, দেওয়া হল উলু। যুগলকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে বরণ ডালা দিয়ে বরণ করা হল। আরও একবার মালাবদল করলেন তাঁরা। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী নির্মল মাজি ও হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার ডালিয়া মিত্র। পিয়ালি ও সুপ্রিয় তাঁদের সামনে আংটি বদল করেন। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের উপহারও দেওয়া হয়। পরে তাঁরা বাড়ি ফেরেন।
গত ২ জুন বিয়ে হয় দাশনগর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিয়ালির। পরের দিন জানা যায় সুপ্রিয় করোনা পজিটিভ। কালরাত্রিতেই তাঁকে চলে যেতে হয় হাসপাতালে। বাড়িতে নেমে আসে বিষাদের ছায়া। তবে রোগ সারিয়ে ১৪ দিন পরে বাড়িতে ফিরছেন সুপ্রিয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনও বাধা নেই সুপ্রিয়র।
করোনাভাইরাসের জন্য এখন সাত জনের বেশি অতিথি নিমন্ত্রণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই জাঁকজমক কিছু হবে না। তবে বিয়ের পরের যে সব রীতি বাকি থেকে গিয়েছিল সেগুলি দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সেরে ফেলা হবে ধরে ধীরে।