
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোনও রাখঢাক নেই। একদম সোজাসুজি আক্রমণ। একদা তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা এ বারের লোকসভা ভোটে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে সোনা চোর বলে তোপ দাগলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারীর সমর্থনে জনসভা করতে শীতলখুচিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেই সভা থেকে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “গত চার বছরে যাকে কোচবিহারে দেখা যায়নি, যে শুধু কলকাতা আর বাংলাদেশে দু’নম্বরি কারবার করে বেড়িয়েছে, তাকে বিজেপি প্রার্থী করেছে।” এরপরই অভিষেক বলেন, “আলিপুরদুয়ারে সোনার দোকান লুঠের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। পচা পদ্মের এমন জাদু, যোগ দিলে চোরই সাধু।”
একটা সময় দলের অন্দরে নিশীথকে ‘কোচবিহারের অভিষেক’ বলেই পরিচয় দিতেন তৃণমূল নেতারা। যুব সভাপতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন ডাকাবুকো এই নেতা। কিন্তু মাস দুয়েক আগেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তারপর সোজা দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায়ের বাড়িতে সদলবদলে গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে যান কোটি টাকা খরচ করে গণেশ পুজো করা নিশীথ। একেবারে প্রার্থী হয়ে পা রাখেন জেলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ছবি ব্যবহার করেই নিশীথ নেতা হয়েছিলেন বলে তোপ দাগেন অভিষেক। জনসভা থেকে স্পষ্ট বলেন, “পরেশ অধিকারীকে নয়। ভোট দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে।”
জনসভা থেকেই নিশীথকে সোনা চোর বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী? তাঁর কথায়, “থাইল্যান্ড থেকে কারা সোনা নিয়ে আসে সেটা গোটা দেশ জানে। আগে জানতাম চোরের মায়ের বড় গলা। এখন দেখছি চোরের স্বামীরও বড় গলা।”
গত কয়েক বছরে কোচবিহারে একাধিক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এবং সবটাই তৃণমূল বনাম তৃণমূল। যুব বনাম মাদার। নিশীথ বনাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দিনহাটা থেকে উত্থান হলেও যত সময় গিয়েছে, ততই গোটা জেলায় প্রভাব বাড়িয়েছিলেন নিশীথ। পর্যবেক্ষকদের মতে, একদা গলার মালা এখন কাঁটা হয়ে বিঁধছে!