
চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে মৃত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন কলকাতারই, জানাল স্বাস্থ্যভবন
কলকাতায় ক্রমাগত এই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধিতে চিন্তায় প্রশাসন। আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্বভাবতই সবচেয়ে বেশি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে কলকাতায়। এই শহরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩১৯। ৩০ এপ্রিল এই সংখ্যা ছিল ২৬৪। অর্থাৎ আট দিনে কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন বেড়েছে ৫৫টি।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, কলকাতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪৭ জন মারা গিয়েছেন। আজ শুক্রবার বুলেটিনে উল্লেখ, করোনা আক্রান্ত হয়ে এ শহরে মারা গেছেন ৫৫ জন। ফলে বলা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৯ জনের মধ্যে কলকাতা শহরেই কোভিডে মারা গেছেন ৮ জন। আরও ৫২ জন করোনা সংক্রান্ত ব্যক্তি কো-মর্বিডিটির কারণে মারা গেছেন এই শহরে। এর ফলে কলকাতায় ১০৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হল।
শুক্রবারের বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি যে তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যভবন, তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪৬। অর্থাৎ রাজ্যে মোট যত মানুষ আক্রান্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে, তার অর্ধেকের বেশি আক্রান্ত শুধু কলকাতায়! বুধবার পর্যন্ত কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৮৩। আজ আরও ৬৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন শহরে, এমনই বলছে বুলেটিনের হিসেব। কলকাতায় এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ রয়েছে ৫৭২ জনের দেহে, এমনটাও বলছে বুলেটিন।
বর্তমানে গোটা রাজ্যের ১২ জেলায় ৫৫০ টি কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। গত চার দিনে ৩৪টি কন্টেইনমেন্ট জোন বেড়েছে বাংলায়। গত সোমবার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছিলেন, রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫১৬টি। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে এখন কন্টেইনমেন্ট জোন সংখ্যা ৫৫০টি। তবে গত আট দিনের হিসেব দেখতে গেলে রাজ্যে স্পর্শকাতর এলাকার সংখ্যা বেড়েছে ১০০-র বেশি। ৩০ এপ্রিল বাংলার কন্টেইনমেন্ট জোন সংখ্যা ছিল ৪৪৪। ৮ মে সেটা হল ৫৫০।
আরও পড়ুন আট দিনে ১০০ টি কন্টেইনমেন্ট জোন বাড়ল রাজ্যে, বেশিটাই কলকাতায়, তারপর উত্তর চব্বিশ পরগনা
কলকাতায় ক্রমাগত এই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধিতে চিন্তায় প্রশাসন। আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্বভাবতই সবচেয়ে বেশি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে কলকাতায়। এই শহরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩১৯। ৩০ এপ্রিল এই সংখ্যা ছিল ২৬৪। অর্থাৎ আট দিনে কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন বেড়েছে ৫৫টি।
অবশ্য এই বুলেটিন নিয়ে একটা প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ৩ মে রাজ্যে প্রথম বিস্তারিত বুলেটিন প্রকাশ করার সময় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। আরও ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে। সেই সংখ্যাটা এখনও ৭২। তাহলে কি গত পাঁচ দিনে রাজ্যে কো-মর্বিডিটির কারণে আর কারও মৃত্যু হয়নি? যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা সবাই কোভিড আক্রান্ত হয়েই? প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।