
সূত্রের খবর, বুধবার সকালে কোভ্যাক্সিন টিকার প্রায় ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ডোজ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। এই ডোজ আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এরপর বিভিন্ন জেলায় চাহিদা মাফিক পাঠানো হবে। রাজ্য সরকার কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ কিনেছে সংস্থার কাছ থেকে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোভিশিল্ড টিকার ৫ লক্ষ ২০ হাজার ডোজ পাঠানো হবে রাজ্যে। এদিন বিকেলের মধ্যেই তা পৌঁছে যাবে।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী ও ৪৫ ঊর্ধ্বদের যেমন বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তেমনই হবে, তবে সেকেন্ড ডোজ প্রাপকরা অগ্রাধিকার পাবেন। বেসরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে যাঁরা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাঁরা সরাসরি ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে সেকেন্ড ডোজ নিতে পারবেন। সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলিতে ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ প্রাপক ও ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সেকেন্ড ডোজ প্রাপকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রথম ডোজ যাঁরা এখনও নেননি তাঁরা সমস্যায় পড়েছিলেন।
কলকাতায় আবার করোনার প্রথম ডোজের টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে। ভ্যাকসিনের ডোজের জোগান কম থাকায় প্রথম ডোজের টিকাকরণ বন্ধ ছিল এতদিন। টিকার সঙ্কট কাটাতে দুদিন আগেই ৫০ হাজার কোভ্যাক্সিনের ডোজ এসেছে রাজ্যে, কোভিশিল্ডও এসেছে ২ লক্ষের কাছাকাছি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। দুই পরগনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে কম। কলকাতাতেও সংক্রমণের হার কমছে। তবে মৃত্যুহার এখনও সেভাবে কমেনি। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জন করোনা রোগীর। মৃত্যুহার কমাতে টিকাকরণে আরও গতি আনতে হবে বলেই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।