
ঘটনা শুক্রবার রাতের। ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে হেমতাবাদ ব্লক। একেবারেই সীমানা ঘেঁষেই ছোট্ট গ্রাম মালডুমা। সেখানে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। শনিবার সকাল থেকেই পুলিশ টহল দিচ্ছে গ্রামে। এসেছে বিএসএফের জওয়ানরাও। কীভাবে আগুন লাগল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করছেন।
স্থানীয়দের দাবি, ওই পরিবারের কর্তা নিজেই নাকি এই ঘটনার জন্য দায়ী। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরেছেন পরিবারের সকলকে, নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটি রামচন্দ্র ভৌমিকের। বয়স ৪০ বছর। স্ত্রী শঙ্করী (৩২) ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। গতকাল রাতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিবারকে নিয়ে গিয়েছিলেন রামচন্দ্র। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, সেখান থেকে ফেরার পরে রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। সকালে স্থানীয়রাই দেখেন গোটা বাড়িটা পুড়ে ছাই হয়েছে। বারো বছরের মেয়েটা তখনও বেঁচে। তবে শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে। অন্য দুটি মেয়ে করুণা (৭) ও সরস্বতী (৪)মৃত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েটিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তার সদুত্তর এখনও মেলেনি। প্রতিবেশীরা বলছেন, রামচন্দ্র একসময় ভ্যান চালাতেন। পরিবারের অভাব ছিল খুব। একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, সেই ধারের বোঝায় জর্জরিত হয়েই সপরিবারে আত্মঘাতী হয়েছেন রামচন্দ্র। হেমতাবাদের বিডিও লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে বাড়ির কর্তাই আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।