
আজ বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠীর সকালে ন’টা নাগাদ পূজালি খেয়াঘাটের কাছে হুগলি নদীতে স্নান করতে নামে চারজন কিশোর-কিশোরী। স্থানীয় সূত্রে খবর এদের সকলেরই বয়স ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই খেয়াঘাটের দিক থেকে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। ছুটে গিয়ে দেখেন স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে চারজন। তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাই। দুই কিশোরী ও এক কিশোরকে উদ্ধার করেছন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে তলিয়ে গিয়েছে আরও একজন। নিখোঁজ ওই কিশোরের খোঁজেই এখন তল্লাশি চলছে। নৌকা নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পূজালি থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে ডুবুরিকে। প্রয়োজনে তল্লাশির জন্য নদীতে ডুবুরি নামিয়ে অভিযান হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, পূজালি খেয়াঘাটের কাছে নদীর ওই অংশে স্রোতে মারাত্মক ঘূর্ণি রয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার সময় ভাটা থাকলেও ওই ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে যায় এই চারজন। তারপর তলিয়ে যেতে থাকে। পুজো শুরুর দিনে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে এই কিশোর-কিশোরীদের সকলের বাড়ি পূজালি পুরসবার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিপুর এলাকার পালপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ছেলেটি নিখোঁজ রয়েছে তার বয়স মাত্র ৭ বছর। তার নাম আবদুল সামাদ। এলাকায় রোহিত নামেই পরিচিত ছিল এই কিশোর। উদ্ধার হওয়া তিনজন সুমাইয়া খাতুন ও সাজিদা খাতুন নামের দুই কিশোরী এবং সুমন পাল নামের এক কিশোর রোহিতের বন্ধু। রোজই তারা ওই জায়গায় স্নান করতে যেত। কিন্তু উৎসব শুরুর দিনেই ঘটে গিয়েছে বড় দুর্ঘটনা।