
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাস্থ্য-বিধি মেনে অবিলম্বে ক্যাম্পাস খোলা-সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে রাতভর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে অবস্থানে বসল সেখানকার এসএফআই ইউনিট। সোমবার সারা রাত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে বসে ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। ১২ ঘণ্টা কেটে গেলেও অবস্থান সরেনি। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা বলছেন, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা অবধি অবস্থান চলবে। এর পরেও দাবি পূরণ না হলে দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের পথে হাঁটবে এসএফআই।
এসএফআই বার বারই ক্যাম্পাস খোলার দাবি জানিয়ে আসছে। এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। এসএফআইয়ের বক্তব্য, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক পড়ুয়াই অনলাইনে পঠনপাঠনের সুযোগ পাচ্ছেন না। অনেকেরই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। নেই দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবাও। তাই ক্যাম্পাস খুলে ক্লাস শুরু করাটা জরুরি।
গতকাল দিনভর কলকাতা সহ রাজ্যের নানা জেলায় স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে। ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের আটকও করেছে পুলিশ।
সেই সেপ্টেম্বর থেকে দফায় দফায় প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। গেটের বাইরে ধর্নাতেও বসেছেন পড়ুয়ারা। দাবি, ক্যাম্পাসে অফলাইন ক্লাস করানোর প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি ও অফিস খুলতে হবে। প্রাথমিক ভাবে গবেষক-সহ চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের দাবিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মেধাবৃত্তি সংক্রান্ত কাজ এবং পাশ করা পড়ুয়াদের ডিগ্রির হার্ড কপি, মাইগ্রেশন-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র ও তথ্য দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাস চালু করতে হবে। ছাত্র সংসগের নির্বাচনের কী হবে তাও জানাতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
ছাত্র বিক্ষোভে গতকাল উত্তাল হয়েছিল কলেজ স্ট্রিট, দমদম, বারাসাত, হুগলি, চুঁচুড়া সহ রাজ্যের নানা জায়গা। বিকাশ ভবনের সামনে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করে এসএফআই। পুলিশি ধরপাকড় চলে। পরে বিকেলের দিকে নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি খুলে যাবে। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা হবে। তাছাড়া পাড়ায় পাড়ায় শুরু হবে শিক্ষালয়।