
দুই বোর্ড মিলিয়ে এবার সারা দেশে ১.২ কোটি ছাত্রছাত্রীর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার কথা। মমতা শর্মা নামের এক ব্যক্তি মূল্যায়নের মানদণ্ড কী হবে তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার শুনানিতেই এদিন আদালতে কেন্দ্রের তরফে ১৪ দিন সময় চাওয়া হয়। আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ছাত্রস্বার্থে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের জন্য একটা মানদণ্ড ঠিক করতে হবে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশের ফলাফলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। উচ্চ শিক্ষায় সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি এ ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল বাংলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পর রাজ্য সরকার সূচি ঘোষণা করেনি। বরং একটি বিষেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন।
করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের আগে গতবার বাংলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা বাকি থাকতেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন। পরে উচ্চমাধ্যমিকের গৃহীত পরীক্ষাগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরকেই না হওয়া পরীক্ষার নম্বর হিসেবে ধরে ফল প্রকাশ করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
কিন্তু এবার তো কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরীক্ষাই হয়নি। সেক্ষেত্রে মানদণ্ড কী হবে তা ঠিক করতে প্রাথমিক পরামর্শ দেবে কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশন। হতে পারে কেন্দ্রীয় বোর্ডের মানদণ্ড কী হচ্ছে তা দেখে বাংলাতেও তেমন কোনও পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য সরকার।