
মৃতের নাম জবেদা বিবি। পেটের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁকে কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেননি বলে অভিযোগ। অনেক পরে একজন চিকিৎসক যদিও এসেছেন, কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর রোগীর দিকে আর ফিরেও তাকাননি নার্সেরা। হাসপাতালের এহেন গাফিলতিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল চত্বরে ,বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও কোনও ডাক্তার আসেননি জবেদা বিবিকে দেখতে। দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের বেডে শুয়েই কাতরাচ্ছিলেন তিনি। এরপর অনেক কাকুতি-মিনতি করার পর একজন ডাক্তার আসেন। তিনি রোগীকে দেখেও যান। যাওয়ার সময় উপস্থিত নার্সদের কিছু পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান ওই ডাক্তার। কিন্তু রোগীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন, কোনও নার্স তাঁদের কাছে আসেননি। পরিষেবা দেননি। সকলেই ব্যস্ত ছিলেন যার যার মোবাইল ফোনে। কেউ মোবাইলে গেম ছিলেন, কেউ আবার করছিলেন চ্যাট।
যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে হাসপাতালের বেডেই কিছুক্ষণ পর নিথর হয়ে যান জবেদা বিবি। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর আত্মীয়রা। তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তারাই রোগীর আত্মীয়দের শান্ত করে।
রোগীর আত্মীয় জানিয়েছেন, ডাক্তার একটি ইঞ্জেকশন লিখে দিয়েছিলেন। কিন্তু নার্সদের বারবার ডাকা হলেও তাঁরা ইঞ্জেকশন দিতে আসেননি। তাঁরা সব মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন। তাতেই রোগীর মৃত্যু হয় কিছুক্ষণের মধ্যে। গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।