
এদিন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, “বিশ্ব গণতন্ত্রের সূচকে ১০ ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে ভারত। দেশের সংবিধান আক্রান্ত। যাঁরা ভাল করে গোটা বিষয়টিকে দেখছেন তাঁরা বুঝতে পারছেন দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর কেমন ভাবে আঘাত হানা হচ্ছে। যাদের হাতে দেশের ক্ষমতা, তারাই আসলে টুকরে টুকরে গ্যাং।”
তিনি বলেন, “দেশ যেদিকে যাচ্ছে তাতে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকও একই ভাবে আতঙ্কিত।” ২০১৯-এর তুলনায় গণতান্ত্রিক সূচকে ভারতের এবছর ১০ ধাপ নেমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, “গণতন্ত্র যে ভাবে প্রতিরোধের মুখে পড়েছে তাতে নাগরিক অধিকারও সুরক্ষিত নয়। আসলে গণতন্ত্রের উপর আঘাত এলে অর্থনীতির ভিত কখনই শক্তিশালী হয় না। বরং তা দুর্বলই হয়ে পড়ে।”
গেরুয়া শিবিরের অনেক দিন ধরেই বক্তব্য, টুকরে টুকরে গ্যাং ভারতের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। পাঁচ বছর আগে জেএনইউতে কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদদের আন্দোলনকে খাটো করে দেখাতেই এই নতুন শব্দবন্ধ তৈরি করেছিল অমিত শাহ বাহিনী। কারণ, তাঁদের অভিযোগ ছিল জেএনইউতে বসে এরা বিচ্ছিন্নতাবাদকে হাওয়া দিচ্ছে। স্লোগান তুলছে, ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে, ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ!”
কিন্তু বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, ছাত্র আন্দোলনকে ‘টুকরে গ্যাং’ নাম দিয়ে বিজেপিই বিভাজনের খেলা খেলছে। আদতে এঁরা কেউই বিচ্ছিন্নতাবাদী নন। এঁরা যে আজাদির কথা বলেন, তা হল জাতিভেদ থেকে, কুসংস্কার থেকে, অনগ্রসরতা থেকে এবং ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি।
এদিন চিদম্বরম কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও তোপ দাগেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বলেন, “ছ’মাস হতে চলল কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলেছে সরকার। কিন্তু এখনও সেখানে কী পরিস্থিতি? রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে রেখে ক্ষমতার দম্ভ দেখাচ্ছে সরকার। মানবাধিকার বলে কিচ্ছু নেই।”