
এই শিক্ষাবর্ষে পাঞ্জাবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার সংখ্যা এক লক্ষ ৭৩ হাজার ৮২৩ জন। পাঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৫০ হাজার ফোন তাদের হাতে চলে এসেছে। এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর হাতে পৌঁছে যাবে স্মার্ট ফোন। পাঞ্জাবের স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, প্রথমে ছাত্রীদের হাতে দেওয়া হবে স্মার্ট ফোন। তারপর ছাত্রদের হাতে। গোটা প্রক্রিয়া নভেম্বরের মধ্যেই সেরে ফেলার টার্গেট নিয়েছে শিক্ষা দফতর।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে অমরেন্দ্র সিং সরকার ‘পাঞ্জাব স্মার্ট কানেক্ট স্কিম’ নামের একটি প্রকল্প নিয়েছিল। তাতে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ দেওয়া, ট্যাব বা পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সেই প্রকল্পেই এই স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং।
ডিজিটাল শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক শিক্ষাবিদ। তাঁদের বক্তব্য, দেশে লক্ষ লক্ষ এমন ছেলেমেয়ে রয়েছে যাদের কাছে বই-খাতার খরচ চালানোটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের ঘাড়ে ডিজিটাল ব্যবস্থা চাপিয়ে দিলে বাস্তবে যা ঘটবে তা হল পড়াশোনাটাই ছেড়ে দেবে তারা। কয়েকদিন আগেই একটি সর্বভারতীয় ইংরাজি দৈনিকে অর্থনীতির অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়েক একটি নিবন্ধে লিখেছিলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে যেমন স্কুল-কলেজে ছেলেমেয়েদের ডেকে এনে ক্লাস করানোটা ঝুঁকির তেমনই ডিজিটাল ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়াটাও অর্থনৈতিক ভাবে অবাস্তব। তাঁর কথায়, শ্রেণিকক্ষের ক্লাসের পরিপূরক কখনওই ভার্চুয়াল ক্লাস হতে পারে না। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তা করতে হলে সরকারকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। ডিজিটাল শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে ছাত্রছাত্রীদের হাতে থাকে তার বন্দোবস্ত করতে হবে সরকারকে। পাঞ্জাব সরকার যেন সেটাই বাস্তবায়িত করে দেখাল।