
প্রতারক দেবাঞ্জনকে নিয়ে এদিন ক্ষোভ ঝরে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। সেই সঙ্গে তিনি পুরসভা, পুলিশের দুর্নীতির দিকেও নিশানা করেন। তাঁর কথায়, ‘কাউকে রেয়াত করা হবে না। আমি নিজে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তিন-চার বার কথা বলেছি। দেবাঞ্জনের পিছনে যেই থাকুক না কেন, কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। যারা এমন কাজ করে আমি তাদের মানুষ বলেই মনে করি না।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশের চোখের সামনে কে কোন অফিস চালাচ্ছে, কীভাবে চালাচ্ছে সেটা পুলিশের দেখা উচিত। পুলিশ বা পুরসভা কেউ এ ব্যাপারে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না বলেই আমি মনে করি।
দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে ইতিমধ্যে শাসকদলের একাধিক নেতার একত্রে ছবি দেখা গেছে। বিরোধীরা তাকে হাতিয়ার করে উঠে পড়ে লেগেছে। এ প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, ‘আমার ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। যারা প্রতারণা করে, তারা সব দলের সঙ্গে ছবি তুলে রাখে।
এদিন পার্লামেন্ট হামলার প্রসঙ্গ টেনেও মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের কোনও যোগ নেই। তাঁর কথায়, ‘সরকারের লাল বাতিওয়ালা গাড়িতেই কিন্তু পার্লামেন্টে বিস্ফোরণ করতে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।’ কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। সিট গঠন করা হয়েছে। যারা তাকে সাহায্য করেছে তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। সে যেই হোক না কেন, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কসবার ওই ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের নাম একত্র করেছে স্বাস্থ্য ভবন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অসুস্থতার খোঁজও নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন মিমির গলব্লাডার সমস্যা রয়েছে।