
সেই সময়ে প্রিন্সিপালের ঘরের বাইরেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন ইন্টার্নরা। নিমেষে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসেন জোড়াসাঁকো থানার ওসি এবং বিশাল পুলিশবাহিনী। এরপর অধ্যক্ষের ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় নির্মল মাঝিকে। সে সময় গাড়িতে উঠতে গেলেই নির্মল মাঝিকে ঘিরে ধরে অসংখ্য অবস্থানরত ইন্টার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তার। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে ফেটে পড়ে হাসপাতাল চত্বর। কোনওক্রমে তাঁর গাড়ি পাহারা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যায় পুলিশ।
শুক্রবার সকালেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন। এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকেই গর্জে উঠেছিলেন এখানকার পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তাররা। গণ ইস্তফায় সামিল হয়েছেন সিনিয়র ডাক্তার এবং প্রফেসররাও। তবে কেবল কলকাতা মেডিক্যাল নয়, ইতিমধ্যেই গণ ইস্তফা দিয়েছেন আরজিকরের ১২৬ জন চিকিৎসক। তালিকায় রয়েছেন এনআরএস-এর শতাধিক ডাক্তার। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও ইস্তফা দিয়েছেন মেডিসিন বিভাগের ১৬ জন চিকিৎসক। ইস্তফা দিয়েছেন ডারমাটোলজি বিভাগের ২০ জন চিকিৎসক। ইস্তফা দিয়েছেন আরজিকর, এনআরএস এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল। পদত্যাগ করেছেন, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর প্রধান। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মনরোগ বিভাগের প্রধান ডক্টর নির্মল বেরাও ইস্তফা দিয়েছেন।