
বাচ্চাদের মধ্যে ওমিক্রন বাড়ার খবর যথেষ্টই উদ্বেগজনক। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী স্বাস্থ্য আধিকারিকরা দাবি করেছেন, সংক্রমিত বাচ্চাদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে ৬৯ শতাংশের শরীরেই রয়েছে ওমিক্রন। তবে জটিল রোগ বা গুরুতর সমস্যার খবর এখনও মেলেনি। পরীক্ষায় এও দেখা গেছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও ওমিক্রনের সংক্রমণ হয়েছে। এমন রোগীর সংখ্যা অন্তত ৮০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দের থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ছোটদের মধ্যে। ওমিক্রনের সংক্রমণ অতটা ভয়াবহ জায়গায় না গেলেও সতর্ক থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী কী উপসর্গ দেখা দিচ্ছে–
সর্দি-কাশি ও জ্বর হচ্ছে। ছোটদের ক্ষেত্রেও উপসর্গ একইরকম।
জ্বর ১০০ ডিগ্রি বা তার বেশি হচ্ছে। বারে বারে জ্বর আসতে পারে।
মাথা ব্যথা, গা-হাত পা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে অনেকের।
শ্বাসকষ্ট তেমনভাবে হচ্ছে না।
শারীরিক দুর্বলতা থাকছে। সদ্যোজাত শিশু হলে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে অভিভাবকদের।
শুকনো কাশি হচ্ছে অনেকের। জ্বর সেরে যাওয়ার পরেও কাশি থাকছে। পেট খারাপের সমস্যা তেমনভাবে হচ্ছে না।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দের জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকুন। পারলে নিজেকে আইসোলেশনে রাখুন। সাধারণ জ্বর ভেবে অনেকেই কোভিড টেস্ট করাচ্ছেন না। এতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরও বেশি। এখন সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভাল। আর তা না করলে আলাদা আইসোলেশনে থাকুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান।
বাচ্চাদের সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে ডাক্তারি করে অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ানোই ভাল। আলাদা ঘরে আইসোলেশনে রাখুন। বাচ্চার জামাকাপড় যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। কাছে গেলে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজ করে তবে যান। পুষ্টিকর খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন।