
ইউরিক অ্যাসিড বেশি? নিয়ন্ত্রণে রাখুন সহজ উপায়
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এখন এক সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। খাবারের অনিয়ম, সঙ্গে বেলাগাম জীবনযাপন, ফাস্টফুডের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে হজমের সমস্যায় বা অম্বলে ভোগেন অনেকেই। খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার ফলে নানান সমস্যায় পড়তে হয় রোজ। তেমনই এক সমস্যা হলো শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি।
ইউরিক অ্যাসিড কী?
শরীরের একটি প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ, যা আমাদের প্রতিদিন আমাদের শরীরে তৈরি হয়। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের দেহে প্রাকৃতিক কোষ ভাঙনের কারণে সৃষ্ট পিউরিন নামক রাসায়নিক থেকে তৈরি হয়।
কীভাবে এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়?
সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে, স্বাভাবিক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ২-৬ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে মাত্রাটি সামান্য বেশি, প্রায় ৩-৭। যখন শরীর তার বর্জ্য পদার্থগুলিকে পরিষ্কার করতে পারে না, তখন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে কিডনির সমস্যা। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলে গাঁটের ব্যথা বাড়ে।
ধূমপান, অ্যালকোহল, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে ইউরিক অ্যাসিড-এর অতিরিক্ত মাত্রা বাড়ে। অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বাড়লে কখনও কখনও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালীতে থিতিয়ে পড়ে নানা রোগের জন্ম দেয়। থিতিয়ে পড়া ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকার নেয়। এটি গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ ডেকে আনে। এ ছাড়া কিডনিতে পাথরও জমতে পারে।
কীভাবে কন্ট্রোলে রাখবেন?
১) ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ফল, সবজি, শস্য জাতীয় খাবার ডায়েটে বেশি রাখুন। ময়দার রুটি, হোয়াইট ব্রেড, কেক, ক্যান্ডি, কোল্ড ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রেড মিট, হাই ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, ফ্যাটি পোলট্রি খাবার এড়িয়ে চলুন।
ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। প্রতি দিনের ডায়েটে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি রাখা যায়।
২) প্রতিদিন পরিমাণ মতো জল খেয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। দিনে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লিটার জল খেলে, ইউরিক অ্যাসিড কমে যায়।
৩) প্রতিদিন ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে, অল্প শরীরচর্চায় শরীর তরতাজা থাকে।
৪) ধূমপান এবং মদ্যপান এর অভ্যাস যত শীঘ্র সম্ভব ত্যাগ করতে হবে।
৫) বেশিক্ষণ এক জায়গায় শুয়ে বসে না থেকে মাঝে মাঝে একটু চলাফেরা করতে হবে।
৬) প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দরকার।