
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভের সময়েও একের পর এক রেলকর্মী আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। পরিষেবা ব্যাহত হয় সে সময়। বাতিল করে দিতে হয়েছিল অসংখ্য ট্রেন। এবারে থার্ড ওয়েভের সময় পরিস্থিতি অতটা খারাপের দিকে না গেলেও কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজারের বেশি রেলকর্মী। আক্রান্তদের মধ্যে রেলের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন। তবে পরিষেবা ব্যাহত হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছে রেল।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে রেলের অন্দরেও। এখনই চার হাজারের বেশি কর্মী সংক্রমিত। রেলের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও কোভিড পজিটিভ। সকলেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
গতকাল বুধবার ৭৪ জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়, যার মধ্যে ৭২ জনেরই কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে রেল সূত্রে এও বলা হয়েছে, আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থও হয়ে উঠছেন অনেকে। গত বার করোনায় অনেক রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু এবারে তেমন হয়নি। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কম। সংক্রমিতেরা সকলেই হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাই পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক রয়েছে বলেই রেল সূত্রে জানানো হয়েছে।
গতবার কোভিড পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর পর্যায়ে চলে গেলে হাসপাতাল-নার্সিংহোমে বেডের অভাব দেখা দিয়েছিল। সে সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল পূর্ব রেল। গ্রামীণ এলাকায় যেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই, সেখানে করোনা রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য রেল কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানিয়ে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ট্রেনের কামরাগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানো হয়েছিল। শুধুমাত্র হাওড়া ডিভিশনেরই ১০৩টি কোচে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়। কোভিড বেড রাখা হয় অন্তত ১৬৫০টি। সঙ্কটাপন্ন কোভিড রোগীদের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কোচে দুটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা হয়। তাছাড়াও রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি কোচে দু’জন করে ডাক্তারও রাখা হয়েছিল। রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরও যা যা দরকার, সব ব্যবস্থাই করেছিল রেল।