
গত শুক্রবারই ১০ হাজারের নীচে নেমেছিল দৈনিক আক্রান্ত। রবিবার তা আরও কমে সাত হাজারের নীচে নামল। মৃত্যুহার যেমন কম, তেমনই সুস্থতার হার বেশি। রাজ্যে করোনাজয়ীদের সংখ্যা একদিনে ২০ হাজারের বেশি।
সংক্রমণের হার কমছে রাজ্যে। দৈনিক সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। এখন ১০ শতাংশের নীচে নেমে গেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের হার কমার অর্থ হল কোভিড কমতে শুরু করেছে। ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমবে।
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮০ জন। কলকাতায় সংক্রমিত ৯৭৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এতদিন সংক্রমণের কার্ভ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এতদিনে দৈনিক আক্রান্ত এক হাজারের নীচে নামল। ওই জেলাতে নতুন সংক্রমণ ৯৬০। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও দৈনিক আক্রান্ত কমল শনিবারের তুলনায়।
রাজ্যে এখন ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে রেস্তোরাঁ, জিম, শপিং মল খুলেছে। স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে আলোচনা চলছে। রাজ্য শিক্ষা দফতর নবান্নকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, কমবয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে। কাজেই কোভিড বিধি মেনে এখন স্কুল খোলার আর কোনও সমস্যা নেই। করোনার কারণে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। তাই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস ফের শুরু করা যেতে পারে।