
সকাল থেকে আধ ঘণ্টারও বেশি রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করেন এসএফআই কর্মীরা। বিক্ষোভ তুলতে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সূত্রের খবর, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একপ্রস্থ ধস্তাধস্তিও হয়।
এদিকে ছাত্রনেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে কলকাতায় প্রেসিডেন্সি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠন ডিএসও। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করে এসএফআইয়ের ইউনিট। তাদের দাবি, ছাত্রনেতার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেই খুন করা হয়েছে আনিস খানকে। দোষীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। কলেজ স্ট্রিটের রাস্তাও কিছুক্ষণ অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আনিসের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এসএফআই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে আজ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর পর তিনদিন কেটে গেছে। এখনও অধরা অভিযুক্তরা। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছিলেন, আনিসের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ ছিল। এ ঘটনায় তিনিও মর্মাহত। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আনিসের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দেখার জন্য মুখ্য সচিব, ডিজি ও সিআইডিকে নিয়ে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম তথা সিট গঠন করা হয়েছে। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে।
এদিকে পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই বলেই দাবি করেছেন আনিসের বাবা সালেম খান। তিনি সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করার আর্জি জানিয়েছেন। সোমবার সকালে ডিএসপি সুব্রত ভৌমিকের নেতৃত্বে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা আনিসের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। ডিএসপি আশ্বাস দেন, পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের ছদ্মবেশে কারা এসেছিল তাদের খুঁজে বের করা হবে। তবে আনিসের পরিবার এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। ওই চার জন কারা ছিল, তাদের নাম সামনে আনার দাবি তুলেছে পরিবার।