
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’শো বছর পূর্তির অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হয়েছে দশ কৃতী প্রাক্তনীর ছবি দেওয়া পোস্টার। তাতে নেই সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি। এই নিয়ে নিন্দা, সমালোচনা, বিতর্কের ঝড় উঠেছে নানা মহলে। সামাজিক মাধ্যমেও সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক এবং সাধারণ নাগরিকেরা।
এ বছর এই বরেণ্য সন্তানের জন্মের ১২৫তম বর্ষ পালন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির ব্যবস্থাপনায় চলছে তা উদযাপনের নানা আয়োজন। এই সময় সুভাষচন্দ্র বসুর নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কৃতী প্রাক্তনীর তালিকায় তাঁর নাম না থাকার ঘটনা জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসে নবান্ন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে বিষয়টি সম্পর্কে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জবাব তলব করা হয়েছে।
কৃতী ১০ প্রাক্তনীর ছবি-সহ একটি পোস্টার সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রেসিডেন্সি। তাতে সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি না থাকা নিয়ে বিতর্ক আরও চড়েছে। তৃণমূলের একাংশ বলছে, অপর্ণা সেনের মতো অনেক বিশিষ্ট মানুষ প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনীর তালিকায় আছেন। তাঁদের কী করে মনীষী-তুল্য প্রাক্তনীদের তালিকায় রাখা হল? বিগত কয়েক বছর তিনি সিনেমার থেকে রাজনীতিই বেশি করছেন।
প্রেসিডেন্সিতে পড়ার সময় ইতিহাসের অধ্যাপক ওটেন ভারতীয়দের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করলে সুভাষচন্দ্র বসু তীব্র প্রতিবাদ করেন। ওই ঘটনায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। অনেকে মনে করছেন, বহিষ্কৃত হওয়াতেই প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের সরকারি তালিকায় সম্ভবত সুভাষচন্দ্র বসুর নামটি নেই। কারণ, একই ভুল অতীতেও এক-দু’বার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এই ঘটনায় নবান্নের কাছে মৌখিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি সরকারকে জানিয়েছেন, যে বেসরকারি এজেন্সি পোস্টার তৈরির দায়িত্বে ছিল, এটা তাদের ভুল। বিশ্ববিদ্যালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে।